শেখ হাসিনা ভাইরাল নতুন ভাস্কর্য | হাসিনার প্রতিকৃতি (নেট জুড়ে)

 ভুল নেতৃত্বের ভয়াবহতা: যখন একজন নারী নেত্রী হয়ে ওঠেন জাতির অভিশাপ

শেখ হাসিনার

শেখ হাসিনার

নেতৃত্বের আসনে থাকা একজন মানুষের হাতেই থাকে একটি দেশের ভাগ্যরেখা। তিনি যদি যোগ্য, সৎ ও মানবিক হন, তাহলে রাষ্ট্র পায় উন্নতির পথ। আর যদি তিনি হন আত্মকেন্দ্রিক, দমন-পীড়নের ধারক এবং ক্ষমতার মোহে অন্ধ—তাহলে সেই নেতৃত্ব হয়ে ওঠে জনগণের জন্য এক ভয়ংকর অভিশাপ।

আর সেই নেত্রী যদি হন একজন নারী, তবে ইতিহাসের পাতায় তার পরিচয় ‘নেত্রী’ হয়তো থাকবে, কিন্তু তাকে ‘জননেত্রী’ বলা যাবে না। কারণ প্রকৃত ‘নেতা’ বা ‘নেত্রী’ সবার আগে দেশ ও জনগণের কথা ভাবেন।

যিনি নিজেকে নারী পরিচয়ে আবৃত রেখে মানুষের কণ্ঠ রোধ করেন, গণতন্ত্র ধ্বংস করেন, বিরুদ্ধ মতকে নিশ্চিহ্ন করেন—তিনি নারী হতে পারেন, কিন্তু মানবিকতা থেকে বহুদূরে অবস্থান করেন।

যখন মানুষ কাঁদে, তখন প্রকৃতি চিৎকার করে

একজন নেত্রীর ভুল সিদ্ধান্ত, অহংকারপূর্ণ আচরণ, ও নিষ্ঠুর ক্ষমতা চর্চা—মানুষের জীবনে সৃষ্টি করে সীমাহীন কষ্ট।

যখন ভোটের অধিকার হরণ হয়,

যখন একটিমাত্র কথার কারণে গুম-খুন হয় সাধারণ মানুষ,

যখন মায়ের চোখে অপেক্ষা জমে ছেলের লাশ ফেরার,

তখন আর মানুষ মৌন থাকে না।

প্রকৃতি তখন নিজের নিয়মে তার প্রতিশোধ নেয়। ইতিহাস ঘুরে দাঁড়ায়। আর মানুষ?

মানুষ তখন গড়ে তোলে ভাষাহীন প্রতিবাদের ভাস্কর্য,

যেখানে কেবল চোখে ধরা পড়ে বেদনার প্রতিচ্ছবি,

মূর্তির প্রতিটি রেখায় থাকে ঘৃণা, বঞ্চনা আর ক্ষোভের ছাপ।

ভাস্কর্য—শিল্প নাকি নিন্দা?

বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে আজ যে ধরণের ভাস্কর্য তৈরি হচ্ছে, তা কেবল শৈল্পিক প্রকাশ নয়—তা হচ্ছে নীরব চিৎকার।

মানুষ যখন নিজের মত প্রকাশ করতে পারে না, তখন সে ছবি আঁকে,

মাটি দিয়ে গড়েন এক ভয়ংকর মুখ,

যার প্রতিটি অংশ বলে—“এই মুখটাই আমাদের কষ্টের কারণ।”

এই ভাস্কর্যগুলো কোনও দলের প্রতিক্রিয়া নয়, এটি সাধারণ মানুষের হৃদয়ের রক্তক্ষরণের বহিঃপ্রকাশ।

এই মূর্তি কোনো রাজপ্রসাদের সামনে স্থান পায় না, বরং পড়ে থাকে রাস্তায়, পার্কের কোনায়, কিংবা পুড়ে যায় প্রতীকি আগুনে।

কিন্তু এর চেয়ে শক্তিশালী আর কোনো প্রতিবাদ নেই।

নারীর মুখোশে নেতৃত্বের অমানবিকতা

তিনি নারী ছিলেন, সে কথা অস্বীকার করার উপায় নেই।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—তিনি কি ছিলেন একজন মা?

তিনি কি ভাবতে পেরেছেন, একজন মায়ের মতো গোটা জাতিকে আগলে রাখার কথা?

একজন নারীর মন নরম হয়, চোখে থাকে ভালোবাসা, হাতে থাকে করুণা।

কিন্তু এই নারী নেত্রীর চোখে যদি থাকে কেবল ক্ষমতার খিদে,

তবে তিনি নারী নন, তিনি একজন স্বৈরশাসক,

যিনি নিজের লোভ আর জেদের কাছে বিসর্জন দিয়েছেন মানবিকতা।

ইতিহাস তার বিচার ঠিকই করে

আজ দেশের নানা প্রান্তে তৈরি হচ্ছে সেই নেত্রীর বিকৃত ভাস্কর্য, যা মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে—

ক্ষমতার অপব্যবহার কেমন ভয়ংকর হতে পারে,

একজন নারী হয়ে কিভাবে একজন নেত্রী জনতার জীবনে হয়ে উঠতে পারেন বিভীষিকা।

মানুষ আর চায় না সেই অন্ধকার ফিরে আসুক।

তাই তারা প্রতিবাদ করছে ভাষায়, শিল্পে, আর প্রতিমায়।

---

লেখা: [মতিউর রহমান লিটন]

সূত্র: বাস্তব ঘটনা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশ্লেষণ