পুরুষ টাকার মেশিন
রুবেল সারাদিন অফিস করে, রাতে বাড়ি ফিরে স্ত্রী-সন্তানের মুখ দেখে। কেউ কখনও জিজ্ঞেস করেনি—তার শরীরটা ভালো তো? তার মনে কি কষ্ট আছে? সবার ধারণা, সে শুধু আয় করবে, আর সবাই ভালো থাকবে। একটা জীবন্ত টাকার মেশিন সে, যন্ত্রণা অনুভব করার সুযোগ নেই।
টাকার মেশিন অচল
একদিন শরীরটা আর চলল না সজলের। এত বছর ধরে যা কিছু উপার্জন করেছিল, চিকিৎসার খরচেই সব শেষ হয়ে গেল। স্ত্রী বলল, “তুমি আগের মতো আর কিছু দিতে পারো না!” এবার সজল বুঝল—অচল টাকার মেশিনের দাম জীবনে কিছুই না।
একটা টাকার মেশিন
সাদেক সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রাইড শেয়ার করে। বাচ্চার মুখে দুধ, স্ত্রীর শখ, বাবার ওষুধ—সব তার ঘামে কেনা। সে নিজের শখের কথা কাউকে বলে না, কারণ সে একটা টাকার মেশিন। আবেগ তার জীবনে বিলাসিতা।
প্রবাসী টাকার মেশিন
নাহিদ ১২ বছর ধরে প্রবাসে। একটা ভালো ফোনও সে নিজে কিনেনি। পরিবার যেন ভালো থাকে, এই চিন্তায় নিজের স্বপ্নগুলো গিলে খায়। দেশে কেউ ভাবে না, তারও একটা মন আছে—সে শুধু টাকা পাঠায়, যেন সে মানুষ না, একটা প্রবাসী টাকার মেশিন।
আমি এক টাকার মেশিন
তন্ময় আয় করে, সংসার চালায়, পরিবার সামলায়। কিন্তু তার কান্না, কষ্ট, দুঃখ কারো জানা নেই। সে নিজেই একদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলল, "আমি কি মানুষ, না একটা টাকার মেশিন?"
একটা টাকার মেশিন প্যাকেট হয়েছে সাদা কাপড়ে
শরিফ আর ফিরবে না। লাশ হয়ে ফিরছে প্রবাস থেকে। সাদা কাপড়ে মোড়া তার দেহ, পাশে কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার। যে মানুষটা সারা জীবন টাকার মেশিন হয়ে থেকেছে, আজ সে নিঃস্ব হয়ে ফিরল।
একটা টাকার মেশিন পেকেট হইছে
তাজুল হঠাৎ স্ট্রোক করে মারা গেল। যার রোজগারে সংসার চলত, সেই এখন কাফনের কাপড়ে প্যাকেট। কেউ বলল না, "ভাই একটু বিশ্রাম নাও।" কারণ সবার চোখে সে ছিল শুধু একটা টাকার মেশিন।
টাকার মেশিন প্রবাসী জীবন
কাজল কাতারে থাকে। গরমে ঘাম ঝরায়, হাড়ভাঙা খাটুনি খাটে। দেশে তার ছবি যায় না, শুধু টাকা যায়। পরিবারের কারো মনে হয় না, সে কেমন আছে। টাকার মেশিন হয়ে বেঁচে থাকা—এই তার প্রবাসী জীবনের গল্প।